সপ্তম শ্রেণীর কর্ম ও জীবমুখী শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর

সপ্তম শ্রেণীর কর্ম ও জীবমুখী শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

সপ্তম শ্রেণীর কর্ম ও জীবমুখী শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর

উত্তর :

পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কেউ উন্নতি করতে পারে না। সাধারণত আমরা জানি শ্ৰম হলো দুপ্রকার- দৈহিক বা কায়িক , শ্রম ও মানসিক শ্রম। শরীবে খেটে যে শ্রম করা হয় তাকে দৈহিক বা কায়িক শ্রম বলে। আর যে শ্রমে বৃদ্ধিমত্তা তথা জ্ঞান খরচ করা হয় তাকে মানসিক শ্রম বলে। মানব জীবনে উভয় শ্রমই মূল্যবান এ পৃথিবীতে যাবা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছ্‌নে, সবাই অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই করেছেন। শ্রমহীন, অলস জীবন পঙ্গু জীবনের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতুে বেঁছে থাকতে হলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই বেঁচে থাকতে হয়। আধুনিক বিশ্বে যত বিস্ময়কর আবিস্কার রয়েছে তার সবই নিরলস শ্রমের ফসল। শ্রমহীন জীবন মানে হতাশার কাফন জড়ান্মে এক জীবন্তু লাশ। শ্রমুবিমুখ মানুষ দেশ ও জাতির জন্য বােঝা। অপরিশ্রমী মানুষ জীবনে উন্নতি ও সাফল্য অর্জন করতে পাবে না। সকল উন্নতির মূলে আছে শ্রম।

পৃথিবীর জ্ঞানী ব্যক্তিদের আচরণ এবং উপদেশ পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, তারা কোনাে কাজকেই ছােট করে দেখেননি। কোনাে শ্রমকেই তারা মর্যাদা হানিকর বলে মনে করেন না। তাদের কাছে ছােট বড় কাজ বলে কিছু নেই। সকল কাজের প্রতিই তারা সমভাবে শ্রদ্ধাশীল। সে কারণেই তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌছে গেছেন। একথা সত্য, পৃথিবীর যে জাতি শ্রমের প্রতি যত শ্রদ্ধাশীল, সে জাতি তত উন্নত ও সম্পদশালী। তাই মানব জীবনে শ্রমের গুরুত্ব অপরিসীম | শ্রম বিমুখের কারণেই আমরা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য শ্রমের ক্ষেত্র গড়ে তুলতে হবে। কঠোর পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণকে পরিশ্রমী করে তুলতে পারলে জাতীয় উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। সকল অভাব অনটনের অবসান ঘটায়। সভ্যতার বিকাশে কায়িক , ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *