সপ্তম শ্রেণীর ৫ম সাপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

সপ্তম শ্রেণীর ৫ম সাপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

৫ম সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৫ম সাপ্তাহর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব। যদি আপনারা বাংলা অ্যাসইনমেন্টের এই উত্তর গুলো অরুসরণ করেন তাহলে ১০০% মার্কস পাবেন। আরো সকল সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টে পেতে আমাদের সাথে থাকবেন আশা করি। আমরা সপ্তম শ্রেণীর সকল বিষয়ের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইট এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করব। যারা এখনো আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবসক্রাউব করেনে তারা নিচের লিংক থেকে সাবসক্রাইব করে নিন।

সপ্তম শ্রেণীর ৫ম সাপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

জনাব ‘ক’ নিয়মিত মার্জিত বেশভূষায় অফিসে আসা-যাওয়া করেন। সহকর্মী ও সেবাগ্রহনকারী সবাই তার ব্যবহারে মুগ্ধ। তার সহকর্মী জনাব ‘খ’ তার এলাকার অসুস্থ-পীড়িত পশু-পাখি, বিরান-বিপন্ন গাছ-গাছালির পরিচর্যার জন্য একটি বহুমুখী ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করেন।

গ. জনাব ‘ক’ এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহর কোন গুণটি বিদ্যামান? ব্যাখা কর।

ঘ. জনাব ‘খ’ এর কার্যক্রমটি তােমার পাঠ্যবইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

গ উত্তর:

 

সপ্তম শ্রেণীর ৫ম সাপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

জনাব “ক” এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহর শালীনতাবোধ গুণটি বিদ্যমান। ব্যাখ্যা করা হলো –

আখলাক আরবী শব্দ। এর অর্থ চরিত্র, স্বভাব, আচরণ, ব্যবহার ইত্যাদি। মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায়, সেসবের সমষ্টিই হল আখলাক।

আখলাক দুই ধরনের- আখলাকে হামিদাহ এবং আখলাকের জামিমাহ।

মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব উত্তম আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায়, সেসবের সমষ্টিকে আখলাকে হামিদা বা উত্তম চরিত্র বলা হয়।

যেমন- পরোপকারিতা, শালীনতাবোধ, সৃষ্টির সেবা, আমানত রক্ষা, শ্রমের মর্যাদা, ক্ষমা ইত্যাদি।

শালীনতার আরবি প্রতিশব্দ ‘তাহযিব’, যার অর্থ ভদ্রতা, নম্রতা ও লজ্জাশীলতা। আচার-আচরনে, কথাবার্তায়, বেশভূষায় এবং চালচলনে মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে শালীনতা বলে।

শালীনতা একটি মহৎ গুণ। এটির গুরুত্ব অপরিসীম।

শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। শালীনতা আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে সাহায্য করে। আচার-ব্যবহারের শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে।

শালীন পোষাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্যের প্রতীক। শালীন ও ভদ্র আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতার প্রয়োজন সর্বাধিক।

জনাব ‘ক’ নিয়মিত মার্জিত বেশভূষার অফিসে আসা যাওয়া করেন। সহকর্মী ও সেবা গ্রহণকারী সবাই তার ব্যবহারে মুগ্ধ। অতএব তাঁর এ আচরণ শালীনতাবোধ এর পরিচায়ক।

 


ঘ উত্তর:

জনাব ‘খ’ এর কার্যক্রমটি হলো সৃষ্টির সেবা। আমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো-

ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতিশীল হয়ে আদর যত্ন করার নামই হলো সৃষ্টির সেবা।

মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা করে পাঠিয়েছেন।

আর সৃষ্টিকুলের সবকিছু যেমন জীবজন্তু, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই এসব সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং এগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা অবশ্য কর্তব্য।
যে সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হয়ে রহমত বর্ষণ করেন।

এ সম্পর্কে মহানবী (স.) বলেন-“তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে। তাহলে আসমানের অধিপতি মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি দোয়া করবেন” (তিরমিজি)

পৃথিবীর এই মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টি জগতের সবকিছু নিয়ে আল্লাহর সৃষ্টি পরিবার। আল্লাহর সৃষ্টি পরিবারে মানুষই সেরা।

পরিবারে যেমন পরিবার প্রধান এর অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে, তেমনই সৃষ্টি জগতের প্রতি মানুষের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে।

সৃষ্টিকুলের প্রতি এ দায়িত্ব পালন করার নাম সৃষ্টির সেবা।

সৃষ্টির প্রতি মানুষের কর্তব্য গুলোর মধ্যে অসহায় ও দুস্থ মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করা যেমন কর্তব্য, তেমনি গাছপালা, পশুপাখি, বৃক্ষলতা এবং পরিবেশের প্রতিও মানুষের কর্তব্য রয়েছে।

সৃষ্টির প্রতি সদয় হলে এবং এদের লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে আল্লাহ খুশি হন।

তেমনি এদের প্রতি অবহেলা করলে, নিষ্ঠুর আচরণ করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

জনাব ‘খ’ তার এলাকার অসুস্থ পীড়িত পশুপাখি, বিপন্ন গাছগাছালির পরিচর্যার জন্য একটি বহুমুখী ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করেন। তার এ কাজ সৃষ্টির সেবার অন্তর্ভুক্ত।

আমরা তার মত সৃষ্টির সেবা করবো। জীবজন্তুকে কষ্ট দিব না। অকারণে কোন বৃক্ষের ক্ষতি করব না।

বৃক্ষ রোপন করব এবং এর যত্ন করবো।

তাহলে আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন।

আমাদের চারপাশের কীটপতঙ্গ, গাছপালা, তরুলতা, পশুপাখি সব কিছুর প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

কারণ এ সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। আমাদের স্বার্থেই এ পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

পরিবেশ রক্ষায় ও নিজেদের প্রয়োজনে জীবজগৎ ও পরিবেশ এর প্রতি সদাচরণ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *