ভাব ও কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। ৮ম শ্রেণি

ভাব ও কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এই পোস্টে ভাব ও কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধের লেখক বলেছেন, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাবের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু কেবল ভাব দিয়ে মহৎ কিছু অর্জন করা যায় না। কর্মশক্তি এবং সঠিক উদ্যোগ ছাড়া ভাব দ্বারা কার্যসিদ্ধি করা যায় না। তাই কেবল ভাবে মশগুল হয়ে থাকলে আত্মার শক্তি মরে গিয়ে সকল উদ্যোগ নষ্ট হয়ে যায়। নিচে থেকে জ্ঞানমূলক ও অনুধাবন মূলক প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে নিন।

ভাব ও কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-১। ‘দাদ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘দাদ’ শব্দের অর্থ— ‘প্রতিশােধ’।

প্রশ্ন-২। ‘কপূর’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কপূর” শব্দের অর্থ বৃক্ষস থেকে তৈরি গন্ধদ্রব্য বিশেষ।

প্রশ্ন-৩। ‘স্পিরিট’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: স্পিরিট’ শব্দের অর্থ আত্মার শক্তির পবিত্রতা।

প্রশ্ন-৪। ‘সুবর্ণ” শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: সুবর্ণ’ শব্দের অর্থ হলাে সােনা।

প্রশ্ন-৫। ‘পুয়াল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘পুয়াল’ শব্দের অর্থ “খড়’।

প্রশ্ন-৬। বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তর: ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

প্রশ্ন-৪১। কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় কীসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উচ্চারিত হয়েছে?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ উচ্চারিত হয়েছে।

প্রশ্ন-৭। ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধটি কে লিখেছেন?
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ প্রবন্ধটি লিখেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।

প্রশ্ন-৮। ‘ভাব ও কাজ’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ হলাে একটি প্রবন্ধ।

প্রশ্ন-৯। ‘হুজুগ’ অর্থ কী?
উত্তর: “হুজুগ অর্থ জনরব।

প্রশ্ন-১০। ‘লা-পরওয়া’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: লা-পরওয়া’ শব্দটির অর্থ হলাে গ্রাহ্য না করা।

প্রশ্ন-১১। ভালাে উদ্যোগ নষ্ট হয় কীসের অভাবে?
উত্তর: ভালাে উদ্যোগ নষ্ট হয় যথাযথ পরিকল্পনা ও কাজের স্পৃহার অভাবে।

প্রশ্ন-১২। কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-১৩। কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-১৪। কত খ্রিষ্টাব্দে বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়া হয়?
উত্তর: ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে বাঙালি পল্টন-ভেঙে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন-১৫। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কীসের গুরুত্ব অপরিসীম?
উত্তর: মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভাবের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন-১৬। কীসের দ্বারা মানুষকে জাগিয়ে তােলা যায়?
উত্তর: ডাবের দ্বারা মানুষকে জাগিয়ে তােলা যায়।

প্রশ্ন-১৭। বন্যা যা বা যাদেরকে ভাসিয়ে আনে তাদেরকে কী বলে?
উত্তর: বন্যা যা বা যাদেরকে ভাসিয়ে আনে তাদেরকে বানভাসি বলে।

প্রশ্ন-১৮। কুম্ভকর্ণ কে?
উত্তর: কুকর্ণ রাবণের ছােট ভাই।

ভাব ও কাজ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন-১৯। ‘ভাব ও কাল’ প্রবন্ধে কোন জিনিসটিকে অবাস্তব, উচ্ছাস বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে ভাবকে অবাস্তব উচ্ছাস বলা হয়েছে।

প্রশ্ন-২০। ‘ভাব ও কাজ’ নিবন্ধে প্রাবন্ধিক কীসের মতাে কিছু না বুঝে পেছন ধরে চলতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ’ নিবন্ধে প্রাবন্ধিক ভেড়ার মতাে কিছু না বুঝে পেছন ধরে চলতে নিষেধ করেছেন।

প্রশ্ন-২১। কী দেশকে উন্নতি ও মুক্তির দিকে এগিয়ে নেবে?
উত্তর: ব্যক্তিস্বাতন্য দেশকে উন্নতি ও মুক্তির দিকে এগিয়ে নেবে।

প্রশ্ন-২২। কবি ভাবকে কীসের দাস করার কথা বলেছেন?
উত্তর: কবি ভাবকে কাজের দাস করার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন-২৩। ভাবের সুরা পান করে কী হারানাে যাবে না?
উত্তর: ভাবের সুরা পান করে জ্ঞান হারানাে যাবে না।

প্রশ্ন-২৪। কর্মে শক্তি আনার জন্য কী করতে হবে?
উত্তর:কর্মে শক্তি আনার জন্য ভাৰ-সাধনা করতে হবে।

প্রশ্ন-২৫। মানুষকে মাতিয়ে তােলা যায় কী দিয়ে?
উত্তর: মানুষকে মাতিয়ে তােলা যায় ভাব দিয়ে।

প্রশ্ন-২৬। ভাবকে কীসের দাস হিসেবে নিয়ােগ করতে না পারলে ভাবের কোনাে সার্থকতা থাকে না?
উত্তর: ভাবকে কাজের দাস হিসেবে নিয়ােগ করতে না পারলে ভাবের কোনাে সার্থকতা থাকে না।

প্রশ্ন-২৭। যিনি ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাবেন তাকে কেমন হতে হবে?
উত্তর: যিনি ভাবের বাঁশি বাজিয়ে জনসাধারণকে নাচাবেন তাকে হতে হবে নিঃস্বার্থ ত্যাগী ঋষি ।

প্রশ্ন-২৮। ভাবের বাঁশিবাদককে মানুষের ভাবকে জাগিয়ে তুলতে হবে কীসের উদ্দেশ্যে?
উত্তর: ভবের বাঁশিবাদককে মানুষের ভাবকে জাগিয়ে তুলতে হবে মানুষের কল্যাণের উদ্দেশ্যে।

প্রশ্ন-২৯। কাকে কেউ জাগিয়ে তুলতে পারে না?
উত্তর: যে জেগে থেকেও ঘুমায় তাকে কেউ জাগিয়ে তুলতে পারে না।

প্রশ্ন-৩০। কোন বিষয় বিবেচনা করে কাজে নামলে উৎসাহ অনর্থক নষ্ট হবে না?
উত্তর: কালের সম্ভাবনা-অসম্ভাবনার কথা অগ্রে বিবেচনা করে কাজে নামলে উৎসাহ অনর্থক নষ্ট হবে না।

প্রশ্ন-৩১। মানুষকে মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় কোনটি?
উত্তর: মানুষকে মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য।

প্রশ্ন-৩২। ঢোল, কাসি বাজিয়ে কার ঘুম ভাঙাতে হয়েছিল?
উত্তর: ঢােল, কাসি বাজিয়ে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাতে হয়েছিল।

প্রশ্ন-৩৩। লােকের কোমল অনুভূতিতে ঘা দেওয়া কী?
উত্তর: লােকের কোমল অনুভূতিতে ঘা দেওয়া পাপ।

প্রশ্ন-৩৪। ‘ভাব ও কাজ’ নিবন্ধে কোন শক্তিকে জাগিয়ে তােলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ’ নিবন্ধে স্পিরিট বা আত্মার শক্তিকে জাগিয়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন-৩৫। ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কোনটিকে ‘মহাপাপ’ বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে আত্মার শক্তিকে অন্যের প্ররােচনায় নষ্ট করাকে মহাপাপ বলা হয়েছে।

প্রশ্ন-৩৬। মানুষকে, সােনার কাঠির ছোঁয়া দিয়ে জাগিয়ে তােলার আগে কী তৈরি রাখতে হবে?
উত্তর: মানুষকে সােনার কাঠির ছোঁয়া দিয়ে জাগিয়ে তােলার আগে কার্যকের তৈরি রাখতে হবে।

প্রশ্ন-৩৭। কুম্ভকর্ণের ঘুম কীভাবে ভাঙাননা বিচিত্র নয়?
উত্তর: কুম্ভকর্ণের ঘুম ঢােল-কাসি বাজিয়ে ভাঙাননা বিচিত্র নয়।

প্রশ্ন-৩৮। লেখক ভাবকে কীসের সাথে তুলনা করেছেন?
উত্তর: লেখক ভাবকে ‘পুষ্পবিহীন সৌরভের সাথে তুলনা করেছেন।

ভাব ও কাজ অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর

এখানে ভাব ও কাজ অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর উত্তর দেওয়া আছে। যা সৃজনশীল প্রশ্নের খ নাম্বারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্ন গুলো গল্প থেকে তৈরি করা হয়েছে। তাই প্রথমে আপনারা সম্পূর্ণ গল্প টি পড়ে নিবেন।

প্রশ্ন-১। ভাবকে ‘অবাস্তব উচ্ছাস’ বলা হয়েছে কেন?

উত্তর: মনের কল্পনা থেকে ডাৰ সাময়িক উত্তেজনা প্রকাশ করে বলেই ভাবকে অবাস্তব উচ্ছাস বলা হয়েছে।মানুষের মন স্বভাবতই কল্পনাপ্রবণ ও স্বপ্নবিলাসী। এই কল্পনা মানুষের মধ্যে সাময়িক একটি প্রণােদনা সৃষ্টি করে। লেখক এই প্রণােদনাকেই বলেছেন ভাব; যা পরিপূর্ণ হয় কাজের মাধ্যমে। কাজবিহীন ভাবের কোনাে বাস্তবিক স্থান নেই। সে কারণে লেখক একে অবাস্তব উচ্ছাস বলেছে।

প্রশ্ন-২। ভাবের বাঁশিবাদককে কী ধরনের যােগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে?

উত্তর: ভবের বাঁশিবাদককে কল্যাণকামী ও ত্যাগী মানসিকতার অধিকরী হতে হবে।ভাবের বাঁশিবাদক বলতে সেই মানুষকে বােঝানাে যে অন্য মানুষদের ভাবের দ্বারা জাগ্রত করে কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে উদ্বুদ্ধ সক্ষম হবেন। এছাড়া ভাবের বাঁশিবাদককে নিঃস্বার্থ ত্যাগ ঋষির মতাে হতে হবে। তার লক্ষ্য হবে দেশ ও মানুষের কল্যাণ, নিজের স্বার্থসিদ্ধি করা নয়। মহত্তম উদ্দেশ্য ও কল্যাণ কামনা ছাড়া যদি সে মানুষকে অসৎ উদ্দেশ্যে জাগ্রত করে, তাহলে সমাজ ও দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। এ কারণেই ভাবের বাঁশিবাদককে হতে হবে কল্যাণকামী, নিঃস্বার্থ ও ত্যাগী মানুষ।

প্রশ্ন-৩। সাপ লইয়া খেলা করিতে গেলে তাহাকে দস্তুরমতাে সাপুড়ে হওয়া চাই’- ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: যে কোনাে কাজে নামার পূর্বে এই বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক।ভাব ও কাজের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। কেবল আবেগের বশে কঠিন কোনাে কাজে নেমে পড়লে তাতে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করা যায় না। সাফল্যের জন্য প্রয়ােজন কাজটি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান। সুধু পরিকল্পনা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজে নামলে অনেক সময় ভালাে উদ্যোগও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কাজকে দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যথাযথ পরিকল্পনা এবং ওই বিষয়ের দক্ষতা অর্জন করা প্রয়ােজন। প্রশ্নোত্ত বাক্যটিতে এ কথাই বােঝানাে হয়েছে।

শেষ কথা

এখানে সম্পূর্ণ গল্প টি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি রি পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে ভাব ও কাজ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। যাদের কঠিন শব্দ গুলো বুঝতে অসুবিধা হয়েছে, তারা উপরের অংশ থেকে শব্দার্থ গুলো পড়ে নিবেন। এই রকম শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পেতে আমার সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

ভাব ও কাজ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর PDF। ৮ম শ্রেণি

ভাব ও কাজ- কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা গল্প ৮ম শ্রেণি