৭ম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১০ম সপ্তাহ

৭ম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ

একদিন সকালে তুমি দেখলে তোমার প্রতিবেশী জব্বর খুরিয়ে খুরিয়ে হাটসে। সে একজন ভাল খেলোয়াড় তুমি জিজ্ঞাসা করলে জব্বার তোমার কি হয়েছে? জব্বর বললো গতকাল ব্যায়াম করতে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি।


তুমি পাঠ্যবইয়ের আলোকে জেনেছ অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে ২০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
নমুনা সমাধান
 

৭ম শ্রেণীর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১০ম সপ্তাহ

২১ শে জুলাই, ২০১৮
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
বাগমনিরাম বালক উচ্চ বিদ্যালয়
দামপাড়া, চট্টগ্রাম।

বিষয়: অতিরিক্ত ব্যায়ামের কুফল সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে প্রকাশিত আপনার আদেশ নং যাহার স্মারক বা.বা.উ.বি ০৯/২০২১ অনুসারে “অতিরিক্ত ব্যায়ামের কুফল” শিরোনামে প্রতিবেদন নিম্নে পেশ করছি।

আমাদেত স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি শারীরিক শান্তিও প্রয়োজন রয়েছে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন যে কারণে দেহের গঠন সুদৃঢ় হয় এবং মন সতেজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। অধিক পরিমাণের খাবার গ্রহণ যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার যখন তখন ব্যায়াম করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ক্ষতিকর প্রভাব গুলো নিচে দেয়া হলো:

শরীর দুর্বল অনুভব করা : অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে অনেক সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, ব্যক্তি কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়াও প্রয়োজন।

কর্মক্ষমতা হ্রাস : ব্যক্তি যখন তার প্রাত্যহিক জীবনে সাঁতার কাটা, মালামাল বহন করা, সাইকেল চালানো, হাটাচলা, দৌড়ানো ইত্যাদি কাজ করতে গিয়ে যখন শরীর বাঁধা দেয়, কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, একটু পর পর বিশ্রামের প্রয়োজন মনে হয় তখন বুঝা যায় কর্মক্ষমতা কমে এসেছে। পরিশ্রম বেশি হলে মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই শারীরিক ধারণ ক্ষমতা বুঝে ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি : বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় জানিয়েছে সপ্তাহে সাড়ে সাত ঘন্ট বা এর অধিক শরীরচর্চা করলে যে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে খাওয়া দাওয়া এবং কাজের প্রতি অনীহা, খিটখিটে মেজাজ, রাগ, রুগ্নতা ইত্যাদি।

ঘুম পরিপূর্ণ না হওয়া : মানুষের পরিশ্রমের ফলে শরীরে যে ক্লান্তি অনুভব হয় সেখান থেকেই ঘুম আসে। কিন্তু ব্যায়াম যদি বেশি হয় তাহলে ঘুমের ক্ষত হয়, অস্থিরতা, বিরক্তকর অনুভব হয়।

ব্যথা হওয়া : শরীর চর্চার কিছু নিয়ম আছে। সে নিয়মমাফিক শরীর চর্চা বা করলে বা বেশি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথার সৃষ্টি হয়, অনেক সময় চামড়া ও কুচকে যায়, দাগ দেখা যায়, রগ ছিঁড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। গিড়া ব্যাথা, কোমড় ব্যাথা ইত্যাদির ভাব দেখা যায়।

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন ব্যায়ামের প্রয়োজন আছে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ব্যায়ামও শরীরের ক্ষতি করে থাকে। তাই শরীর ও মন সতেজ ও সুস্থ থাকার জন্য নিয়মমাফিক শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে।

 
প্রতিবেদকের নাম:
শ্রেণী:
রোল:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *