নবম শ্রেণীল রসায়ন এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৪র্থ সপ্তাহ

নবম শ্রেণীল রসায়ন এ্যাসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে। বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক” – এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে হবে। প্রতিবেদনে অবশ্যই পাঁচ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা ও সংশ্লিষ্ট সতর্কতামূলক সাংকেতিক চিহ্ন উল্লেখ করে তা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় উদাহরণ হিসেবে লিখতে হবে।

নবম শ্রেণীল রসায়ন এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ৪র্থ সপ্তাহ

উত্তর :
প্রতিবেদকের নাম : ………………….
প্রতিবেদকের শিরােনাম : …………….
প্রতিবেদনের তারিখ : …………………
প্রতিবেদকের ঠিকানা : …………………

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক

সাধারনত যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে।

রসায়ন গবেষণাগারে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য থাকে । প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্যই আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম-বেশি ক্ষতিকর। কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয়,কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য (সহজেই যাতে আগুন ধরে যায়) কোনােটি আমাদের শরীরে সরাসরি ক্ষতি করে আবার কোনােটি পরিবেশ ক্ষতি করে রসায়ন পরীক্ষাগারে যে যন্ত্রপাতি বা পাত্র ব্যাবহার করা হয় তার বেশির ভাগই কাচের তৈরি। তাই এ রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢােকা থেকে শুরু করে বের হওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অসতর্ক হলেই যেকোনাে ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেমনঃ-এসিড গায়ে পড়লে শরীর ক্ষত সৃষ্টি হবে।পােশাকে পড়লে পােশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রসায়ন গবেষণাগারে অগ্নিকান্ড বিস্ফোরণসহ নানা ধরনের ছােট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই শরীরকে রক্ষা করতে পরতে হবে নিরাপদ পােশাক বা অ্যাপ্রােন। রসায়ন গবেষণাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রােনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত আর লম্বায় হাটুর পর্যন্ত। এটি হাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় গ্লাভস যা চোখকে রক্ষা করার জন্য সেফটি গগলস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেকোনাে ধরনের রাসয়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের জেনে নিতে হবে সে রাসায়নিক দ্রব্যটি কোন প্রকৃতির। সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয়াসেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

বিস্ফোরক পদার্থ (Explosive Substance) : -এ চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে।এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন। লাগলে প্রচন্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং গবেষণাগারের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে।তাই এ দ্রব্যগুলাে খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।TNT,জৈব পার-অক্সাইড,নাইট্রোগ্লিসারিন ইত্যাদি এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ।


দাহ্য পদার্থ ( Flammable Substance) :- অ্যালকোহল, ইথার ইত্যাদি দাহ্য। পদার্থ।এসব পদার্থে দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে।তাই এদের আগুন বা তাপ থেকে সব সময় দূরে হবে। ক্ষত সৃষ্টিকারীঃ- এ চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে।শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহন করলে তা শরীরের ভেতরের অঙ্গেরও ক্ষতিসাধন করতে পারোহাইড্রোক্লোরিক এসিড,সালফিউরিক এসিড,সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের ঘন দ্রবন এ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ( Dangerous for the environment ) :- এ চিহ্নধারী পদার্থগুলাে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রানী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক।এ ধরনের পদার্থের উদাহারণ হলাে লে মার্কারি ইত্যাদি।তাই এগুলাকে ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সং হওয়া প্রয়ােজন।আবার,ব্যবহারের পরে যেখানে সেখানে ।। ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।এসব পদার্থকে যথাসম্ভব পুনরুদ্ধার করে আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করে হবে।তাহলে এগুলাে সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।


স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ (Health Risk Substance) :- এ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিসাধন করে।এগুলাে শরীরের মধ্যে গেলে ক্যানসারের মতাে কঠিন রােগ হতে পারে কিংবা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে।এ ধরনের পদার্থের উদাহারণ হলাে বেনজিন,টুলইন,জাইলিন ইত্যাদি।তাই এগুলােকে সতর্কভাবে রাখতে হবে এবং ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন,হ্যান্ড গ্লাভস,সেফটি গগলস এগুলাে পরে নিতে হবে।

বিষাক্ত পদার্থ (Toxic Substance)- এ চিহ্নধারী পদার্থ বিষাক্ত প্রকৃতির।তাই শরীরে লাগলে যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।বেনজিন,ক্লোরােবেনজিন,মিথানল এ। ধরনের পদার্থ।এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন,হ্যান্ড গ্লাভস,সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *