১৭ ই মার্চের কবিতা। আজ জাতীয় শিশু দিবস। এর পাশা-পাশি আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিন। বাংলাদেশে ১৭ ই মার্চ শিশু দিবস পালন করা হয়। শিশু দিবস একটি স্মরণীয় দিন যা শিশুদের সম্মানে প্রতি বছর উদযাপিত হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও বিষব শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। তবে এক এক দেশে এক এক সময়ে পালন করা হয়ে থাকে। ১৯৫৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক শিশু অধিকারের ঘোষণাকে স্মরণ করার জন্য ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয়। নিচে ১৭ ই মার্চের কবিতা ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে শিশু দিবসের কবিতা দেওয়া আছে।
শিশু দিবস কেন পালন করা হয়
মূলত বাংলাদেশে শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার জন্য আজকের এই দিন টি পালন করা হয়ে থাকে। এছাড়া আজকের এই ১৭ই মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এই দিন কে আরও সুন্দর ভাবে উদযাপন করতে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস জানাতে বাংলাদেশে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছ। ম্যাসাচুসেটসের চেলসিতে ইউনিভার্সালিস্ট চার্চ অফ দ্য রিডিমারের যাজক রিভারেন্ড ডা. চার্লস লিওনার্ড ১৮৫৭ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় রবিবার শিশু দিবস পালন শুরু করেন। ১৯২০ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ২৩ এপ্রিল শিশু দিবসকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯২০ সাল থেকে জাতীয়ভাবে শিশু দিবস পালিত শুরু হয়। ১৯২৫ সালে জেনেভায় বিশ্ব শিশু কল্যাণ সম্মেলনে প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। ১৯৫০ সাল থেকে অনেক কমিউনিস্ট ও পোস্ট-কমিউনিস্ট দেশে ১ জুন শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন মন্ত্রিসভা ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে “জাতীয় শিশু দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে। অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বাংলাদেশে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত হয়।
১৭ ই মার্চের কবিতা
এখানে ১৭ ই মার্চের কবিতা গুলো দেওয়া আছে। দেশের সকল বিখ্যাত কবই ১৭ ই মার্চ বা শিশু দিবস সম্পর্কে কবিতা লিখেছেন। এর পাশা-পাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের জন্য কবিতা লিখেছেন। কবিতা গুলো নিচে দেওয়া আছে। যাদের প্রয়োজন তারা নিচে থেকে পড়েন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন –
আবু জাফর বিঃ
জাতির পিতা অবিসংবাদিত নেতার শুভ জন্মদিন,
বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে মুছবেনা কোনদিন।
জাতী আজ স্মরণ করিছে তোমায় বিনম্র শ্রদ্ধায়,
তুমি থাকবে চিরঅমর হয়ে অনিঃশেষ ভালবাসায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন,
শিমুল পলাশ হাজারো ফুলে বসন্ত এত রঙিন।
পত্র-পল্লব পুষ্প বৃক্ষরাজি শুভক্ষণের তীব্র প্রতিক্ষায়,
ফুলের গন্ধে সুরের ছন্দে রঙে বর্ণে প্রকৃতি সাজায়।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি হে ক্ষণজন্মা নেতা,
তোমার জন্যই পেয়েছি মোরা প্রাণের স্বাধীনতা।
তুমি না হলে বাংলাদেশ হতোনা হে চিরঞ্জীব নেতা,
তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সুতোই গাঁথা।
পাকিস্থানের শাষক গোষ্টির ২৪বছরের দুঃশাসন,
দিয়েছিলে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ভাষন।
পরাধীনতার শিকল ভেঙে লিখে গেছো ইতিহাস,
আর যেন তাকে বিকৃত করার পায়না দুঃসাহস।
সাহসে, স্নেহে, ভালোবাসায়, মমতায়, দুর্বলতায়,
আপামোর বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রতিবাদী সত্ত্বায়।
তুমি থাকবে বাঙালির হৃদয়ে, অস্তিত্বে বহমান,
শ্রদ্ধাভরে স্মরিব তোমায় শেখ মুজিবুর রহমান।।
শিরোনাম —” স্বরনীয় বরণীয় “
কলমে -জেবুন্নেছা জেবু
১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ ফরিদপুরে
গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ার এক গ্রামে,
জন্মেছিলো বজ্রকণ্ঠি অসাধারন এক ছেলে
দল মতের বহুউর্ধ্বে নিরপেক্ষ অনন্য তিনি
সাহসী সন্তান হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী ।
শেখ লৎফুর রহমান ছিলেন তাহার পিতা
মোসাম্মৎ সায়রা বেগম তাহার গর্বিত মাতা
আদর করে তাহারা ডাকিতেন “খোকা”
তাহার স্ত্রী মহীয়সী এক নারী ফজিলাতুন্নেসা।
তাহার জন্মদিনে জানাই শ্রদ্ধা ও সম্মান
তিনিই জাতির নেতা শেখ মুজিবর রহমান ,
তাহার একটি ডাকে জেগেছিল বীর বাঙালী
তাহারই কন্যা শেখ হাসিনা যোগ্য উত্তরসুরী।
বাঙালি পেয়েছিলো এক মহান নেতা
তাহারই ডাকে নেতৃত্বে মিলেছে স্বাধীনতা ,
দেশটা ছিলো বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার প্রাণ
মহান নেতার জন্ম দিনে জানাই কোটি সম্মান।
অতি সম্মানে পালিত হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
সর্বশ্রেণীর বাঙালির ভালবাসায় সিক্ত এ দিন,
তাহার আত্মার মাগফিরাতের কামনায়
দোয়া মাহফিল হয় সর্বত্রই সোনার বাংলায়,
তাহার স্মৃতি অমর গাঁথা রইবে যুগে যুগে
বাংলার অমর কবি বঙ্গবন্ধু
হে বঙ্গবন্ধু! শুভ হোক, আজ তোমার শুভ জন্মদিন,
তোমার চেতনায় গর্জে উঠুক দেশ ও জাতি এই দিন,
তোমাকে জানাই; অন্তস্থল থেকে ভালোবাসার সালাম,
তোমার কাছে হয়ে আছি; জানা-অজানা কত শত ঋণ।
যত দিন বাংলাদেশ আছে; আছে মানুষ এই বাংলায়,
ততদিন রাখবো মনে তোমায়, লাল-সবুজের পতাকায়,
ধরে রাখব জীবন দিয়ে তোমার গড়া সোনার বাংলাকে
শুনাব; তোমার ত্যাগের ইতিকথা বিশ্ববাসীকে প্রতিদিন।
যেদিন আমি প্রথম গিয়েছিলাম; কলেজ জীবনে
আরো তিন বন্ধুর সাথে ঢাকাস্থ বনানী গোরস্থানে,
তোমার পরিবারের সদস্যদের কবরের সারি দেখে
হতবাক হয়েছিলাম বলে মনটা হয়েছিল সেদিন মলিন।
এ কেমন করে সম্ভব হল? এ কেমন অকৃতজ্ঞতা ?
সইতে পারি না ভাবলে-সিরাজুদ্দৌলার মত ভাগ্য কথা,
যাঁর ঐতিহাসিক বাগ্মিতায় কবিতার মত ফুঁটে উঠে ছিল
আমাদের প্রাণের দাবি; রেসকোর্স ময়দানে- একদিন।
আমাদের জন্যে তুমি; শত্রুদের কারাকে করেছ বরণ
আমাদের জন্যে তুমি শেষাবধি দিয়েছ সপরিবারে জীবন,
প্রমান করেছো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তুমি-
শহীদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সত্যিই তুলনাহীন।
তোমার কবিতায় মুগ্ধ হয়েছিলাম; বাংলার স্বাধীনকামী জনতা
ঝাপিয়ে পড়েছিলাম; স্বাধীনতার জন্যে গড়েছিলাম- একতা,
যার কাছে যা ছিলো; তাই নিয়ে এগিয়েছিলাম- রণাঙ্গনে,
যুদ্ধের ন’মাস তোমার রূপরেখায় চলেছিলাম নিত্যদিন।
জানিনা! কি হতভাগা আমরা? কি হতভাগা দেশ ও জাতি?
বড় আফসোস হয়; দেশের জনকের সাথে করেছে- মীর জাফরী!
পলাশীতে হারিয়েছিলাম একদিন; সমূলে আমাদের স্বাধীনতা
তোমার যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া হতাম বিলীন- দেশ হত না স্বাধীন।।
১৭ ই মার্চের কবিতা
বাংলার পথে বাংলার মাঠে সবুজ শ্যামল ছবি
সোনালি রোদ করছে ঝিলমিল দূর গগনের রবি।
পুবাল হাওয়ায় পাখপাখালির সুরের কূজন ভাসে
দখিন কোণে ফুল কাননের ফুলের সুবাস আসে।
মাঠ দিগন্তে মিশে গেছে বাংলার শীতল ছায়া
আজকে আমার হৃদয়জুড়ে অগ্নি কবির মায়া।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর যিনি
মার্চ সতেরো জন্ম নিলেন জাতির জনক তিনি।
দেশটা স্বাধীন করতে গিয়ে জীবন দিলো হেসে
যাঁর ডাকেতে বীর বাঙালি বিজয় পেল শেষে।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি সবাই খোকার জন্মদিনে
দেশটা স্বাধীন করে গেলেন রক্ত দিয়ে কিনে।
বঙ্গবন্ধু নিয়ে শিশু দিবসের কবিতা
মুজিব নামেই হৃদয় মাঝে ভেসে আসে সুর
সকল দেশের সেরা বলে লাগে সুমধুর।
অত্যাচারী হানাদারের করতে পরাজয়
মুজিব নামেই বুকের ভেতর রক্তধারা বয়।
মুজিব নামেই বিশ্ব মাঝে বীরের পরিচয়
রক্ত দিয়ে আদায় করে বাংলাদেশের জয়।
শোধ হবে না কোনোদিনও তাঁর ত্যাগেরই দাম
মুজিব নামেই মিশে আছে বাংলাদেশের নাম।
মুজিব নামেই দেশের মানুষ যোদ্ধা হয়ে যায়
স্বাধীন দেশে ঘুরেফিরে স্বস্তি ফিরে পায়।
সোনার বাংলা গড়তে হলে করতে হবে কাজ
মুজিব নামেই জাগতে হবে ভেঙে সকল লাজ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে
অন্নদাশঙ্কর রায়
নরহত্যা মহাপাপ, তার চেয়ে পাপ আরো বড়ো
করে যদি যারা তাঁর পুত্রসম বিশ্বাসভাজন
জাতির জনক যিনি অতর্কিত তাঁরেই নিধন।
নিধন সবংশে হলে সেই পাপ আরো গুরুতর,
.
সারাদেশ ভাগী হয় পিতৃঘাতী সে ঘোর পাপের
যদি দেয় সাধুবাদ, যদি করে অপরাধ ক্ষমা।
কর্মফল দিনে দিনে বর্ষে বর্ষে হয় এর জমা
একদা বর্ষণ বজ্ররূপে সে অভিশাপের।
.
রক্ত ডেকে আনে রক্ত, হানাহানি হয়ে যায় রীত।
পাশবিক শক্তি দিয়ে রোধ করা মিথ্যা মরীচিকা।
পাপ দিয়ে শুরু যার নিজেই সে নিত্য বিভীষিকা।
ছিন্নমস্তা দেবী যেন পান করে আপন শোণিত।
.বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! থেকো নাকো নীরব দর্শক ধিক্কারে মুখর হও।
হাত ধুয়ে এড়াও নরক।
ধন্য সেই পুরুষ
শামসুর রাহমান
ধন্য সেই পুরুষ নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;
ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে
প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মত উপত্যকায়;
ধন্য সেই পুরুষ হৈমন্তিক বিল থেকে যে উঠে আসে
রঙ বেরঙের পাখি ওড়াতে ওড়াতে।
ধন্য সেই পুরুষ কাহাতের পর মই-দেয়া ক্ষেত থেকে যে ছুটে আসে
ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।
ধন্য আমরা, দেখতে পাই দূরদিগন্ত থেকে এখনো তুমি আসো,
আর তোমারই প্রতীক্ষায়
ব্যাকুল আমাদের প্রাণ, যেন গ্রীষ্মকাতর হরিণ
জলধারার জন্যে। তোমার বুক ফুঁড়ে অহংকারের মতো
ফুটে আছে রক্তজবা, আর
আমরা সেই পুষ্পের দিকে চেয়ে থাকি, আমাদের
চোখের পলক পড়তে চায় না,
অপরাধে নত হয়ে আসে আমাদের দুঃস্বপ্নময় মাথা।
দেখ, একে একে সকলেই যাচ্ছে বিপথে অধঃপাত
মোহিনী নর্তকীর মতো
জুড়ে দিয়েছে বিবেক-ভোলানো নাচ মনীষার মিনারে,
বিশ্বস্ততা চোরা গর্ত খুঁড়ছে সুহৃদের জন্যে
সত্য খান খান হয়ে যাচ্ছে যখন তখন
কুমোরের ভাঙ্গা পাত্রের মতো,
চাটুকারদের ঠোঁটে অষ্টপ্রহর ছোটে কথার তুবড়ি,
দেখ, যে কোন ফসলের গাছ
সময়ে-অসময়ে ভরে উঠেছে শুধু মাকাল ফলে।
ঝলসে-যাওয়া ঘাসের মত শুকিয়ে যাচ্ছে মমতা
দেখ, এখানে আজ
কাক আর কোকিলের মধ্যে কোনো ভেদ নেই।
নানা ছলছুতোয়
ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর রৌদ্র ঝরে চিরকাল,
গান হয়ে
নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, যাঁর নামের ওপর
কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের উপর পাখা মেলে দেয় জ্যোৎস্নার সারস,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের উপর পতাকার মতো
দুলতে থাকে স্বাধীনতা,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের ওপর ঝরে
মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।
স্বৈরাচারের মাথায় মুকুট পরাচ্ছে ফেরেব্বাজের দল।
দেখ, প্রত্যেকটি মানুষের মাথা
তোমার হাঁটুর চেয়ে এক তিল উঁচুতে উঠতে পারছে না কিছুতেই।
তোমাকে হারিয়ে
আমরা সন্ধ্যায়, হারিয়ে যাওয়া ছায়ারই মতো হয়ে যাচ্ছিলাম,
আমাদের দিনগুলি ঢেকে যাচ্ছিল শোকের পোশাকে,
তোমার বিচ্ছেদের সংকটের দিনে
আমরা নিজেদের ধ্বংসস্তূপে বসে বিলাপে ক্রন্দনে
আকাশকে ব্যথিত করে তুললাম ক্রমাগত; তুমি সেই বিলাপকে
রূপান্তরিত করেছো জীবনের স্তুতিগানে, কেননা জেনেছি –
জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি।
ছোটদের শিশু দিবসের কবিতা
এখানে ছোটদের জন্য কিছু কবিতা দেওয়া আছে। ১৭ই মার্চের অনুষ্ঠানে ছোট শিশুরা শিশু দিবসের কবিতা আবৃতি করতে পারবেন। ছোটদের জন্য এই কবিতা গুলো সংগ্রহ করে দিন।
সতেরো মার্চ
কবি ওয়াসিফ এ খোদা
ভোরের পাখি বলল এসে
আজ একটা দিন রঙ্গিন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
ফুলের বাগান বলল হেসে
বন্ধুকে আজ পুষ্প দিন
টকটকে লাল গোলাপ নিন
বঙ্গসাগর হাজার নদী
শাপলা ফোটা ঝিল অবধি
জাগল সাড়া ভালোবেসে
ছড়িয়ে গেল বাংলাদেশে
হাসি খুশি এ মিলনমেলা
রোদ বৃষ্টি সারাবেলা
কি আনন্দ নৃত্যকৃত
হোক প্রতিক্ষণ আলোকিত”
মুজিব নামে
কবির কাঞ্চন
মুজিব নামেই হৃদয় মাঝে ভেসে আসে সুর
সকল দেশের সেরা বলে লাগে সুমধুর।
অত্যাচারী হানাদারের করতে পরাজয়
মুজিব নামেই বুকের ভেতর রক্তধারা বয়।
মুজিব নামেই বিশ্ব মাঝে বীরের পরিচয়
রক্ত দিয়ে আদায় করে বাংলাদেশের জয়।
শোধ হবে না কোনোদিনও তাঁর ত্যাগেরই দাম
মুজিব নামেই মিশে আছে বাংলাদেশের নাম।
মুজিব নামেই দেশের মানুষ যোদ্ধা হয়ে যায়
স্বাধীন দেশে ঘুরেফিরে স্বস্তি ফিরে পায়।
সোনার বাংলা গড়তে হলে করতে হবে কাজ
মুজিব নামেই জাগতে হবে ভেঙে সকল লাজ।
তোমার জন্মে ধন্য মাতৃভূমি
সুমন বনিক
তোমার ডাকে অস্ত্র হাতে করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ
স্বাধীনতার পরশ পেয়ে তাই হলাম পরিশুদ্ধ।
পরাধীনতার শিকল ভেঙে উন্নীত করি বিজয়ের শির
সারাবিশ্ব বিস্ময়ের চোখে দেখে এ জাতি বীর।
তুমি বাঙালির ইতিহাসের পাতায় সেই অমর মহাকাব্য
তুমি নাই তাই আজি মধুমতি হারায় নাব্য।
বীর বাঙালির হৃদয় তুমি রাজনীতির মহাকবি
পতাকার অই লাল সূর্যটায় তুমি আছো উজ্জ্বল ছবি।
মুক্ত আকাশ সূর্যের মতো দীপ্তি ছড়াও সেই তুমি
তোমার জন্মে ধন্য আমরা ধন্য এই মাতৃভুমি।
শেষ কথা
আজকের মতো এখানেই শেষ। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এই পোস্ট থেকে ১৭ ই মার্চের কবিতা। বঙ্গবন্ধু নিয়ে শিশু দিবসের কবিতা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বিভিন্ন দিবস, উৎসব ও অন্যান্য বিষয়ে এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়। তাই সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। ১৭ই মার্চ সম্পর্কে আরও কিছু পোস্টের ঠিকানা নিচে দেওয়া আছে। চাইলে সেগুলো দেখেনিতে পারেন।
আরও দেখুনঃ