নিমগাছ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ- এস এস সি

নিমগাছ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

নিমগাছ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর এই পোস্টে দেওয়া আছে। থোকা-থোকা ফুলেরই বাকী বাহার… একঝাঁক নক্ষত্র নেমে এসেছে যেন নীল আকাশ থেকে সবুজ সায়রে। বাহ! খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে চলে গেল। কবিরাজ নয়, কবি। নিমগাছটার ইচ্ছে করতে লাগল লোকটার সঙ্গে চলে যায়। কিন্তু পারলে না। মাটির ভিতরে শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে। বাড়ির পিছনে আবর্জনার স্তুপের মধ্যেই দাঁড়িয়ে রইল সে। ওদের বাড়ির গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউটার ঠিক এক দশা।

নিমগাছ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এখানে নিমগাছ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলো অনুশীলন করলে সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বার সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবেন। তাই নিচে থেকে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো দেখেনিন অথবা সংগ্রহ করেনিন।

১. নিমগাছ না যেতে পেরে কী করল?
উত্তরঃ নিমগাছ না যেতে পেরে স্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে রইল।

২. নিমগাছের মতোই ঠিক এক দশা কার?
উত্তর : নিমগাছের মতোই ঠিক এক দশা বাড়ির গৃহকর্ম-নিপুণা লক্ষ্মীবউটার।

৩. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম কী?
উত্তরঃ বনফুল মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম।

৪. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৮৯৯ সালে বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় সালে জন্মগ্রহণ করেন।

৫. ‘নিমগাছ’ গল্পের শেষ বাক্যটিতে লেখক কী পুরে দিয়েছেন?
উত্তর : ‘নিমগাছ’ গল্পের শেষ বাক্যটিতে লেখক সীমাহীন কথার আখ্যান পুরে দিয়েছেন।

৬. চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ কোনটি?
উত্তর : চর্মরোগের অব্যর্থ মহৌষধ নিমগাছের পাতা।

৭. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হয়?
উত্তর : বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে বিজ্ঞরা খুশি হন।

৮. লোকটাকে দেখে নিমগাছটার কী ইচ্ছা হলো?
উত্তরঃ সঙ্গে যেতে লোকটাকে দেখে নিমগাছটার  ইচ্ছা হলো।

৯. বনফুলের পিতার নাম কী?
উত্তরঃ বনফুলের পিতার নাম সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।

১০. কে নিমগাছের রূপ ও গুণের প্রশংসা করেন?
উত্তর : কবি নিমগাছের রূপ ও গুণের প্রশংসা করেন।

১১. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হন?
উত্তর : বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে বিজ্ঞরা খুশি হন?

১২. নিমগাছের চারিদিকে কী এসে জমে?
উত্তর : নিমগাছের চারিদিকে আবর্জনা এসে জমে।

১৩. কী ধরনের লেখালেখির ভেতর দিয়ে বনফুলের সাহিত্য-অঙ্গনে প্রবেশ ঘটে?
উত্তরঃ ব্যঙ্গ-কবিতা ও প্যারডি

১৪. কোনটি বনফুলের লেখা গল্পগ্রন্থ?
উত্তরঃ  বাহুল্য নফুলের লেখা গল্পগ্রন্থ।

১৫.  বনফুলের সাহিত্য-অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ ঘটে?
উত্তরঃ শনিবারের চিঠির মাধ্যমে বনফুলের সাহিত্য-অঙ্গনে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

নিমগাছ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

১৬. কী হিসেবে চাকরির মাধ্যমে বনফুলের কর্মজীবনের সূচনা ঘটে?
উত্তরঃ মেডিক্যাল অফিসার এর মাধ্যমে বনফুলের কর্মজীবনের সূচনা ঘটে।

১৭. বনফুল কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৭৯ সালে বনফুল মৃত্যুবরণ করেন।

১৮. বনফুলের মৃত্যুস্থান কোনটি?
উত্তরঃ বনফুলের মৃত্যুস্থান কলকাতা।

১৯. বনফুল কোন বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তরঃ বনফুল সাহেবগঞ্জ ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।

২০. বনফুল কত সালে ম্যাট্রিক পাস করেন?

উত্তরঃ  ১৯১৮ সালে বনফুল ম্যাট্রিক পাস করেন।

২১. বনফুল কোথা থেকে আই.এসসি পাশ করেন?
উত্তরঃ সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে বনফুল আই.এসসি পাশ করেন।

২২. কবিরাজ কী করেন?
উত্তর : কবিরাজ গাছগাছালি পরিশোধন করে মনুষ্যরোগের চিকিৎসা করেন।

২৩. কবি কিসের পূজারি?
উত্তর : কবি সৌন্দর্যের পূজারি।

২৪. ‘নিমগাছ’ গল্পটি বনফুলের কোন গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘নিমগাছ’ গল্পটি বনফুলের ‘অদৃশ্যলোক’ গ্রন্থের অন্তর্গত।

২৫. কবিকে নিমগাছের ভালো লাগল কেন?
উত্তরঃ কবিকে  নিমগাছের প্রশংসা করার জন্য ভালো লাগল।

২৬. নিমগাছের দিকে কবি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন কেন?
উত্তরঃ বৃক্ষপ্রেমের জন্য নিমগাছের দিকে কবি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।

২৭. ‘নিমগাছ’ গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর : নিমগাছ গল্পটির রচয়িতা বনফুল।

২৮. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হন?
উত্তর : বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে বিজ্ঞরা খুশি হন।

২৯. নিমের কচি ডাল চিবোলে কী ভালো থাকে?
উত্তর : নিমের কচি ডাল চিবোলে দাঁত ভালো থাকে।

৩০. নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কারা?
উত্তর : নিমগাছের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কবিরাজরা।

৩১. নতুন ধরনের লোকটা কিসের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে রইল?
উত্তর : নতুন ধরনের লোকটা নিমগাছের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে রইল।

৩২. বনফুলের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর : বনফুলের প্রকৃত নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়।

৩৩. ‘নিমগাছ’ গল্পে গরম তেলে কী ভাজা হচ্ছে?
উত্তর : নিমগাছ গল্পে গরম তেলে নিমের পাতা ভাজা হচ্ছে।

৩৪. নিমের কচিপাতা কী সহযোগে খাওয়া হয়?
উত্তর : নিমের কচিপাতা বেগুন সহযোগে খাওয়া হয়।

৩৫. বনফুল কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : বনফুল ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

৩৬. নিমগাছের কী ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করা হচ্ছে?
উত্তর : নিমগাছের ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে সিদ্ধ করা হচ্ছে।

নিমগাছ গল্পের অনুধাবন মূলক প্রশ্ন উত্তর

১. ‘মাটির ভিতরে শিকড় অনেক দূরে চলে গেছে’ – কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর : নিমগাছ তার বন্ধন ছেড়ে যেতে চাইলেও সেটা সম্ভব না হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বাক্যটি দ্বারা। ‘নিমগাছ’ গল্পের নিমগাছ সবাইকে অকাতরে সেবা দিয়ে গেলেও বিনিময়ে পায় নিদারুণ অবহেলা। তাই সহানুভূতিশীল কোনো মানুষ যখন তার প্রশংসা করে তখন নিমগাছের ইচ্ছা হয় লোকটার সাথে চলে যেতে। কিন্তু বহু বছর ধরে নিমের শেকড় মাটির অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে। তাই সে চাইলেও যেতে পারে না। এখানে নিমের শেকড়ের প্রতীকে মানুষের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের শৃঙ্খলকেই তুলে ধরা হয়েছে।

২. কবিরাজরা নিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন?
উত্তর : নিমের বহুমুখী উপকারী গুণের কারণে কবিরাজরা নিমের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যাঁরা গাছগাছালি পরিশোধন করে মনুষ্যরোগের চিকিৎসা করেন তাঁরাই কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। এই শ্রেণির মানুষদের কাছে নিম অত্যন্ত মূল্যবান একটি বৃক্ষ। নিমের ছাল, পাতা, ডাল ইত্যাদি ঔষধি গুণসম্পন্ন। এগুলোর ব্যবহারে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের যত্ন নেওয়া যায় তেমনি অনেক জটিল রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এ কারণেই কবিরাজরা নিমের খুব তারিফ করেন।

৩ ‘নিমগাছ’ গল্পে নিমগাছের সাথে বাড়ির লক্ষ্মীবউটার তুলনা দেওয়া হয়েছে কেন?
উত্তর : ‘নিমগাছ’ গল্পে বর্ণিত বাড়ির লক্ষ্মীবউটির জীবন গল্পের নিমগাছের মতোই দুঃখভরা বলে নিমগাছের সাথে তার তুলনা দেওয়া হয়েছে। বনফুল রচিত ‘নিমগাছ’ একটি প্রতীকী গল্প। এখানে নিমগাছের প্রতীকে অতি সংক্ষেপে অনেক বড় একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। নিমগাছের কাছ থেকে মানুষ নানা রকম উপকার পায়। কিন্তু তার বিনিময়ে নিমগাছ পায় অবহেলা আর বঞ্চনা। ‘নিমগাছ’ গল্পে বর্ণিত গৃহবধূর জীবনটাও ঠিক এমনই। এ কারণেই গল্পে নিমগাছের সাথে লক্ষ্মী গৃহবধূকে তুলনা করা হয়েছে।

৪. নিমগাছটি না কাটলেও কেউ তার যত্ন করে না কেন?
উত্তর : বনফুলের প্রতীকী ও তাৎপর্যপূর্ণ গল্প ‘নিমগাছ’। লেখক এখানে নিমগাছ ও নিমপাতার গুণাগুণ বর্ণনা করেছেন। নিমগাছ চর্মরোগ, কৃমিনাশক, পেটের পীড়া প্রভৃতি নিরাময়ে অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে। নিমগাছের ছাল পাতা এবং নিমফল থেকে উৎপন্ন নিমতেল ওষুধ প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানাবিধ উপকারিতার জন্য এ গাছ কেউ সহজে কাটে না।

নিমগাছ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন

রহমান সাহেব অত্যন্ত পরোপকারী মনোভাবের মানুষ। যে কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করতে ছুটে যান তিনি। নিজের সমস্যার কথা চিন্তা না করে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেন। রহমান সাহেবের এ স্বভাবের কারণে তাঁর স্ত্রী মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হন। অন্যের উপকার করতে গিয়ে নিজের সমস্যা ডেকে আনার বিষয়টি মানতে পারেন না তিনি। রহমান সাহেব স্ত্রীকে বোঝাতে চান- “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।”

ক. বাড়ির পাশে নিমগাছ গজালে কারা খুশি হন?
খ. বিজ্ঞরা নিমগাছ কাটতে নিষেধ করে কেন?
গ. ‘নিমগাছ’ গল্পের নিমগাছের সাথে উদ্দীপকের রহমান সাহেবের সাদৃশ্য কোথায়?
ঘ. ‘নিমগাছ’ গল্পের মতোই উদ্দীপকের শেষ বাক্যটি যেন সীমাহীন কথার আখ্যান- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালোলেগেছে। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন।  শিক্ষা সংক্রান্ত এই রকম আরও পোস্ট এই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। নবম-দশম শ্রেণির সকল বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর এই ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করছি এখান থেকে নিমগাছ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত পোস্ট টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আরও দেখুনঃ

উদ্যম ও পরিশ্রম সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর বাংলা ১ম পত্র এস এস সি

উদ্যম ও পরিশ্রম মোহাম্মদ লুৎফর রহমান

আম আঁটির ভেঁপু জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ এস এস সি

আম আঁটির ভেঁপু বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ১ম পত্র

লাইব্রেরি গল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- এস এস সি বাংলা ১ম পত্র