বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয় ১৯১৭১ সালে ২৬শে মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিনে বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। ২৬ শে মার্চে মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর দেওয়াস্বাধীনতার ডাকের মাধ্যমে বাঙ্গালিরা মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ পালন করা হয় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসটি ২৬ মার্চ হয়েছে যা রক্তাক্ত সাক্ষাৎকার দ্বারা জনগণের অসামরিক অবদানের ফলে প্রাপ্ত হয়েছিল। এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্ম পেয়েছিল, যা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরিণতির ফলে সত্ত্বর ঘটে। এই দিনটি সাধারণত স্মরণ করা হয়, বিশেষভাবে সরকারী উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অন্যান্য উপায়ে। এই দিনটি জাতীয় স্মৃতি সৌধে এবং অন্যান্য স্মরণীয় স্থানে অবস্থান পায় এবং মার্চ ২৬ তারিখটি বিশেষ গর্বের সাথে জাতীয় আলোচনায় উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে জনগণ তার গৌরবময় ইতিহাসের স্মরণ করে, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলি, যোদ্ধাদের শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযুদ্ধের শিকল ও কালোবেলার চিত্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ইতিহাস এবং সাক্ষাৎকারগুলি পাঠযোগ্যভাবে আয়োজিত হয়।
স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও শিল্পসম্পদের প্রদর্শনী, সেমিনার, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সম্মান করা, যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনানো, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হয়। সামাজিক ও শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রতিষ্ঠানিক উপায়ে এই দিনের উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আয়োজন, ও স্মৃতিসম্মান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা দিবসের অংশগ্রহণ সাধারণত রাষ্ট্রীয় ও স্থানীয় পর্বে কোন কোন বিশেষ কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা জাতীয় স্মৃতি সৌধে বা অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানে উল্লেখযোগ্য প্রতীক্ষা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ কেনো পালন করা হয়
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসটি মার্চের ২৬ তারিখে পালন করা হয় এর পিছনে ঐতিহাসিক এবং গর্ববোধের পৃষ্ঠভূমি রয়েছে। এই তারিখে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের লড়াই শুরু হয়। ১৯৭১ সালের মার্চ ২৬ এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকারের লড়াই সৃষ্টি হয়েছিল। এই দিনটি স্মরণ করে বাংলাদেশী মানুষের গর্ব ও মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠা করে।
এই তারিখের নির্বাচনে সম্পূর্ণ যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি বিস্ফোরকদের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত করা হয়েছিল। এই দিনে বাংলাদেশের মানুষ জীবনের বেশীরভাগ সীমান্তবিহীন মুক্তি অর্জন করেন। এটি একটি ঐতিহাসিক দিন যেখানে স্বাধীনতা, সাহস, ও গর্বের স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে।
এই দিনটির পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা, স্বাধীন বিচার ও বিচারের অধিকারের সমর্থন করা। এটি সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, এবং বিজ্ঞানের সাথে প্রতিষ্ঠানিক সম্পর্কের বিত্তিক নির্মাণে একটি দ্বিতীয় অবশ্যই ব্যবস্থা করে। এই দিনটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানিক বা অপ্রতিষ্ঠানিক দিনের মধ্যে একটি উপায়ে জাতীয় একতা এবং প্রেরণা বিনিময় করার সুযোগ সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত সালে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসটি বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ১৯৭১ সালে প্রথম পালন করা হয়। তবে স্বাধীনতা দিবসের সম্ভাবনা গড়ে ওঠে ১৯৯৮ সালে তখন শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বিধিনিষ্ঠ ঘোষণা দিয়ে। এর পর থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করা হয় যাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়ায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সূচনা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে থাকা সময়ে। এই দিনটির প্রথম পালন এর পরে এটি প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে পালন করা হয়। স্বাধীনতা দিবসের আগমনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মৌলিক প্রতীকতা ও ঐতিহাসিক গৌরব সচেতন করা।
এই দিনে সমাজের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রামের স্মরণ তোলা হয়। এই দিনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে স্কুল ও কলেজে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, গণমাধ্যম এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে জাতীয় স্মৃতি সৌধে ও অন্যান্য উপায়ে এই দিনটি উদযাপন করে।
এই দিনে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাধীনতা দিবসের গর্ব ও উত্সাহ বাড়ে। প্রতি বছর এই দিনে প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কনফারেন্স, স্মৃতিসম্মান অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা সম্পর্কিত ভাষণ ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। এই দিনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধে আহুতি প্রদান করা হয়। এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুক্তির স্মৃতিগুলির সাথে জড়িত একটি গৌরবময় দিন।
শেষ কথা
স্বাধীনতা দিবস ১৯৭২ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে পালন শুরু হয়। আর এই দিনের ইতিহাস ঘটেছে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৬ তারিখ। স্বাধীনতাকে মনে রাখতে ও স্মরণীয় রাখতে প্রতি বছর এই দিবস পালন করা হয়। আমাদের সবাইকে এই দিবস টি উদযাপন করতে হবে। আশা করছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন।
আরও দেখুনঃ
২৬ মার্চ কি দিবস? মহান স্বাধীনতা দিবস
One Comment on “বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখ ২০২৪”