এইচএসসি ২০২১ হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর – ১ম সপ্তাহ

এইচএসসি ২০২১ হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট – ১ম সপ্তাহ

হিসাবের বইসমূহের পরিচিতি সহায়ক তথ্য:

তিস্তা বিপনি বিতানের নির্দিষ্ট খতিয়ানের ৩১ মে, ২০২১ তারিখের উদ্বৃত্তসমূহ যথাক্রমে নগদ ৩২,০০০ টাকা, অফিস সরঞ্জাম ৩০,০০০ টাকা, প্রাপ্য হিসাব ২৫,০০০ টাকা, প্রদেয় হিসাব ১৮,০০০ টাকা।

জুন, ২০২১ইং মাসে সংঘটিত ঘটনাসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা জুন ২ মালিক নগদ ১০,০০০ টাকা ও ৩০,০০০ টাকার অফিস সরঞ্জাম ব্যবসায় বিনিয়ােগ করলাে।

জুন ৫ ৪০,০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করা হলাে যার ৬০% নগদে। জুন ৯ ভাড়া পরিশােধ ৮,০০০ টাকা।

জুন ১২ চলতি মাসের ৫ তারিখের ধারে বিক্রয়ের টাকা পাওয়া গেল এবং ৫০০ টাকা বাট্টা মঞ্জুর করা হলাে।

জুন ১৭ মালিক ব্যক্তিগত সম্পদ ১,০০,০০০ টাকায় বিক্রয় করে নিজ ব্যবহারের জন্য ৫০,০০০ টাকা দিয়ে একটি ল্যাপটপ ক্রয় করলাে।

জুন ২০ ঘােষ এন্ড সন্সের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় ৯,০০০ টাকা, যার ৫০% ধারে।

জুন ২৩ ঘােষ এন্ড সন্সকে তার পাওনা পরিশােধ করা হলাে এবং ২০০ টাকা বাট্টা পাওয়া গেল।

জুন ২৬ ৩০,০০০ টাকার পণ্য নগদে বিক্রয় করা হলাে।

জুন ৩০ ম্যানেজারের বেতন প্রদান করা হলাে ১০,০০০ টাকা।

এইচএসসি ২০২১ হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর – ১ম সপ্তাহ

হিসাব চক্রঃ

হিসাব চক্র বলতে হিসাববিজ্ঞানের ধারাবাহিক কার্যপ্রক্রিয়াকে বুঝায়। হিসাববিজ্ঞানের চলমান প্রতিষ্ঠান ধারনা অনুসারে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী অনন্ত কাল ধরে চলতে থাকবে। এই অনিরদিষ্ট জীবনকে হিসাবকাল বলে। প্রত্যেক হিসাবকালে হিসাব সংক্রান্ত কারযাবলী ধারাবাহিকভাবে চক্রাকারে সংগঠিত হয়। হিসাব সংক্রান্ত কারযাবলীর এই পর্যায়ক্রমিক ধারাবাহিকতা এবং এদের পুনরাবৃত্তিকে হিসাবচক্র বলে।

১. লেনদেন চিহ্নিতকরণ (Identification of Transaction): হিসাবচক্রের সর্বপ্রথম ধাপ হলাে লেনদেন চিহ্নিণ। যেসব ঘটনা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় তাকে আর্থিক ঘটনা বা লেনদেন বলে। এ কারবার প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ঘটনা থেকে আর্থিক ঘটনাগুলাে সনাক্ত করা হিসাব চক্রের প্রথম ধাপ।

জাবেদাভুক্তকরণ (Journalization): হিসাবচক্রের দ্বিতীয় ধাপ হলাে জাবেদাভুক্তকরণ। এ পর্যায়ে প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করে তারিখের ক্রমানুসারে ব্যাখ্যাসহ হিসাবের প্রাথমিক বইতে লিপিবদ্ধ কাকে জাবেদা বলে।

৩. খতিয়ানভুক্তকরণ (Posting to Ledger): এটি হিসাবচক্রের তৃতীয় ধাপ। জাবেদাভুক্ত করার পর একটি নির্দিষ্ট হিসাব বইতে সমজাতীয় লেনদেনগুলাে নির্দিষ্ট শিরােনামে পৃথক পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করা হলে তাকে খতিয়ানভূক্তকরণ বলে।

৪. রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণ (Preparation of Trial Balance); হিসাবচক্রের চতুর্থ ধাপ হলাে রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণ। এ পর্যায়ে খতিয়ানভুক্ত হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট উন্বত নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা হলে তাকে রেওয়ামিল বলে। খতিয়ান হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতা যাচাই-এর লক্ষ্যে এবং আর্থিক বিবরণী প্রণয়ন সহজতর করার জন্য রেওয়ামিল প্রস্তুত করা হয়।

৫. সমন্বয় দাখিলা (Adjusted Entries): রেওয়ামিল প্রস্তুতের পর একটি নির্দিষ্ট হিসাবকালের সঠিক নিট লাভ নির্ণয় করার জন্য বকেয়া ও অক্সিম আয়-ব্যয়গুলাে সমন্বয় করতে যে জাবেদা দাখিলা প্রদান করা হয় তাকে সমন্বয় জাবেদ বলে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *