৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১০ম সপ্তাহ

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্ট ১০ম সপ্তাহ


বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নাম, অবস্থান, প্রাপ্ত নিদর্শন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত কর এবং বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১০ম সপ্তাহ

বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সংস্কৃতির পরিবর্তন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে কালের বিবর্তনে প্রাচীন সংস্কৃতিকে আজও বর্তমান সভ্যতার সাথে জড়িয়ে আছে।

বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্যঃ

প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি ছিল খুবই উন্নতমানের। বর্তমানের মতো প্রাচীন সময়েও সুপরিকল্পিতভাবে দালান তৈরি করা হতো। বর্তমানে উন্নত নগরী বলতে যা বুঝায় তার সবগুলোই প্রাচীন সময়ে বিদ্ধমান ছিল। যেমনঃ প্রাচীন সময়ে নগরগুলিতে উন্নত রাস্তাঘাট, সড়ক, রাস্তার পাশে বাতি, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ছিল ড্রেন, ডাস্টবিন, বিশাল গোসলখানা প্রভৃতির ব্যবস্থা ছিল যা বর্তমান বাংলাদেশে হরহামেশাই চোখে পড়ে। প্রাচীন সময়ে বানিজ্য ও যোগাযোগের জন্য নদী ব্যবহার করা হত। বর্তমানেও নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজারও ব্যবসা।

বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির বৈসাদৃশ্যঃ

প্রাচীন সময়ের অনেক শিল্পই বর্তমানে অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে। আগে হস্ত শিল্পের বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। বর্তমানে হস্ত শিল্পের জনপ্রিয়তা কমে এসেছে। বিশেষ কিছু সাংস্কৃতিক উৎসব ছাড়া হস্ত শিল্পের দেখা মিলে না। তাছাড়া বাসাবাড়িতে প্রাচীন সময়ে মাটির তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সভ্যতার অগ্রগতির সাথে
সাথে বর্তমানে স্টিলের ও কাঁচের তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান থাকলেও সভ্যতার গোড়াপত্তন সূচীত হয়েছিল প্রাচীন যুগ থেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *