৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ২০২১

ষষ্ঠ শ্রেণীর ২য় সাপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এবং এই ওয়েবসাইটে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এখানে সুন্দর, সঠিক এবং সহজ একটি উত্তর পাবেন যেটা দিতে পারলে আপনি ১০০% ভাল একটা মার্কস পাবেন।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের উপর একটি সচিত্র পোস্টার তৈরি কর।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ২০২১

শিরোনাম: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অবদান

১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কালে মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের উপর একটি সচিত্র পোস্টার তৈরি করা হল:

১৯৫২ ভাষা আন্দোলন

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষাকে বাংলা করার জন্য ছাত্ররা এ্রকত্রিত হয়ে মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পাক বাহিনির গুলিতে রফিক, সালাম, বরকত, জববারসহ আরো অনেকে শহীদ হয়। ভাষা  আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু জেলে থাকলেও তিনি চিরকূটের মাধ্যমে আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়।  এর আগে ১৯৪৮ সালে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়।  সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করলেন সেদিনের ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সাধারণ নির্বাচন

 

১৯৫৪ সালে ১০ই মার্চ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ববঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তান শাষকগোষ্ঠী বাঙালির এই আধিপত্য মেনে নিতে পারেনি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ৩০শে মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।  এটা ছিল বাঙ্গালিদের উপর জুলুমের এক বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচনের পর  বঙ্গবন্ধুকে ৭ মাস কারাবন্ধি করে রাখা হয়েছিল।

৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন

১৯৬৫ সালে পাকভারত যুদ্ধের সময়কালে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয় পূর্ব বাংলা সম্পূর্ণভাবে অরক্ষিত ছিল। স্পষ্ট হয়ে ওঠে পাকিস্তানের সামরিক শাসকগণ সামাজিক, সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক শোষণের ধারাবাহিকতায় পূর্ববাংলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ন্যূনতম উন্নতি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি। বাঙালিদের প্রতি জাতিগত এই বৈষম্যের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী লাহোরে আহুত ‘সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন’ শেখ মুজিবর রহমান ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘গত দুই যুগ ধরে পূর্ব বাংলাকে যেভাবে শোষণ করা হয়েছে তার প্রতিকারকল্পে এবং পূর্ব বাংলার ভৌগোলিক দূরত্বের কথা বিবেচনা করে আমি ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করছি।’ পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ হিসাবে বিবেচিত হয়।

 


৬৯ এর গণ-আন্দোলন

পূর্ব-বাংলার স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে ওঠে।  এই ধারাবাহিকতায় স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথকে উন্মক্ত করে। অহিংস আন্দোলন সহিংসতার দিকে ধাবিত হতে থাকে। এই সময় রাজনৈতিক দলের ৬ দফা দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়।


৭০ এর সাধারণ নির্বাচন

২৫শে মার্চ ৬৯ সারা দেশে সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর হলেও সামরিক সরকার গণ-দাবিকে উপেক্ষা করার মত শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। তাই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান সারা দেশে এক ব্যক্তি এক ভোটের নীতিতে সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ৭ই ডিসেম্বর ’৭০ থেকে ১৯শে ডিসেম্বর’ ৭০ এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে দেশব্যাপী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ৬ দফা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে রায় প্রদান করে। এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ৩১০ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে জয়লাভ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের ম্যান্ডেট লাভ করে। নির্বাচনে জয়লাভের পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার গঠনে মত দিতে অস্বীকার করেন।


৭১ এর অসহযোগ আন্দোলন

 

একটি রাজনৈতিক দল জনগণের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়েছে। তারা সরকার গঠন করবে, এটাই ছিল বাস্তবতা। কিন্তু সামরিক শাসকগণ সরকার গঠন বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে এক আলোচনা শুরু করে। কিসের জন্য আলোচনা, এটা বুঝতে বাঙালি নেতৃবৃন্দের খুব একটা সময় লাগেনি। জাতীয় সংসদের নির্ধারিত অধিবেশন স্থগিতের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ১লা মার্চ ১৯৭১ দেশব্যাপী অসহযোগের আহবান জানান। সর্বস্তরের জনগণ একবাক্যে বঙ্গবন্ধুর এই আহবানে সাড়া দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অচল করে তোলে। তারপর ৭ই মার্চ  শেখবুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দেন এবং সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

17 Comments on “৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *